মো:রিজভীল ইসলাম ( জীবননগর উপজেলা প্রতিনিধি): চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে ঝুলছে সবুজ আম। এবারের মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারণে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া, হাসাদাহ, উথলী এবং সীমান্ত ইউনিয়নের আমবাগানগুলোতে ফলন চোখে পড়ার মতো। আম এখন গুটি থেকে বড় হয়ে উঠছে, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে উঠবে আগাম জাতের পাকা আম।
কৃষকরা বলছেন, এবার মুকুল আসার সময় আবহাওয়া ছিল অনুকূলে। পরবর্তীতে গুটি পড়ার হারও তুলনামূলকভাবে কম। ফলে উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়নের আমচাষি তারিক রহমান বলেন, “এই বছর আমার ১৫ বিঘা জমির বাগানে গাছে গাছে আম ধরেছে। পোকামাকড়ের আক্রমণও কম, ফলন ভালো হবে আশা করি।”
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি বছর জীবননগর উপজেলায় প্রায় ১,২০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমবাগান রয়েছে আন্দুলবাড়িয়া ও সীমান্ত ইউনিয়নে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “আম গাছের জন্য রোগবালাই কম দেখা দিয়েছে। আমরা নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, এবার আমচাষিরা ভালো লাভ করতে পারবেন।”
তবে কৃষকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগও রয়েছে। বিশেষ করে অতিবৃষ্টি বা ঝড়-তুফান হলে গাছে থাকা গুটি আম ঝরে পড়তে পারে। এছাড়া বাজারে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়েও চিন্তিত অনেকে।
স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী আবুহেনা জানিয়েছেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। আগাম জাতের আমের মধ্যে গোপালভোগ, লক্ষণভোগ ও হিমসাগর বেশি চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু পাইকার এলাকা ঘুরে বাগান কিনে নিচ্ছেন আগাম সরবরাহের আশায়।
জীবননগরের আম শুধু স্থানীয় চাহিদা মেটায় না, প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন বড় শহরে সরবরাহ হয় এখানকার আম। এক্ষেত্রে সীমান্ত ইউনিয়নের কয়েকটি আমবাগান ইতোমধ্যে ঢাকায় বিক্রির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।