ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা বিবেচনায় রেখে নারী শিক্ষক, নারী কর্মকর্তা ও নারী কর্মচারীদের মাধ্যমে নিকাব ও হিজাব পরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত , যেখানে হিজাব বা নিকাব পরা ছাত্রীরা পরীক্ষার সময় তাঁদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে, কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এবং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কিছু দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি হলো, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার আগে, নারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে তাঁদের শনাক্ত করা উচিত, যাতে চেহারা দেখে শনাক্তকরণ না হয়। এই পদক্ষেপটি আরও সুষ্ঠু ও সম্মানজনক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করবে, এবং পূর্ববর্তী নিপীড়ন বা হেনস্তার ঘটনা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা।
তাহমিনা আক্তার তামান্না, যিনি এ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, তাঁর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, পরীক্ষার সময় একটি শিক্ষিকা তাঁকে মুখ দেখাতে বলেছিলেন, যা তাঁর কাছে অস্বস্তিকর ছিল। এর পরে বিভাগীয় চেয়ারম্যান তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন যে বিষয়টি দেখবেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু করার সম্ভাব্যতা যাচাই করার কথা জানিয়েছে। তবে এর আগে, পরীক্ষায় নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে শনাক্তকরণের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।