প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫:১২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

এ সম্পর্কিত আরও খবর

ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার আগেই নির্বাচন দিন: গয়েশ্বর

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫:১২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

👁 7 views

ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার আগেই নির্বাচন দিন: গয়েশ্বর


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,সময় বাংলার ।

সময়মতো নির্বাচন দিলে গলায় যত ফুলের মালা পরাবো তার ওজন সইতে পারবেন না, অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমার পক্ষ থেকে অন্তর্বতী সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ, একটা নির্বাচন আদায় করার জন্য জনগণকে যেন রাস্তায় গুলি খেয়ে মরতে না হয়। আপনারা সময় মতো নির্বাচনটা দেন তাতে আপনারা ফুলের পাপড়িতে ঢাকা পরবেন। আপনাদের গলায় যত মালা পরাবো তত মালার ওজন আপনারা সইতে পারবেন না। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তৃণমূল দলের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনাদের আমরা সম্মানের সঙ্গে এনেছি, সম্মানের সঙ্গে বিদায় করতে চাই, আপনারা দায়িত্বটা পালন করেন। আর যদি আমাদের শেষ পর্যন্ত মাঠে নামান কতটুকু সময় টিকবেন সেটা একটু ভেবে দেখবেন।

গয়েশ্বর বলেন, আশা করি আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার আগেই অন্তর্বর্তী সরকার যথাযথভাবে নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নির্বাচনের মাধ্যমে ফয়সালা হয়ে যাবে জনগণ কাকে ক্ষমতা দেবে। জনগণই দেশের মালিক, ক্ষমতার উৎস। সে জনগণ যদি ১৯৭১ এর যুদ্ধের বিরোধীদের ভোট দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনে, আমার আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এসে যাবে এজন্য এ সরকারকে রাখতে হবে যে অন্তর্বর্তী সরকার সারাজীবনের জন্য দরকার। আর তারা যতক্ষণ পর্যন্ত সুস্থ-সবল না হবে, নতুন দল না হবে ততদিন পর্যন্ত নির্বাচন দেবেন না এটা তো পক্ষপাতিত্বমূলক।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার যদি একবার পক্ষে যায় সেটা যদি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাহলে তো আমাদের নিজ পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। এমন একটা দিন আসুক চাইনা। যা হওয়ার হয়েছে, এখন একটা নির্বাচন হোক। আর যদি আসে তাহলে তো আমরা চুপ করে বসে থাকব তাও না।

গয়েশ্বর বলেন, তখন আমরা ২৭ দফা উপস্থাপন করলাম এবং এ যুগপৎ আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলন যারা করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এটা দাঁড়ালো ৩১ দফা। এ ৩১ দফা ৬২টি রাজনৈতিক দলের চিন্তা ভাবনার ফসল। তাহলে নতুন করে সংস্কারের জন্য আর নতুন দলের দরকার নেই। চেয়ার বানানোর জন্য তো আর বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের দরকার নেই, চেয়ার বানাবেন কাঠমিস্ত্রি। কাঠমিস্ত্রি বলতে আমি রাজনীতিবিদদের বলি, তারাই তো দেশ চালাবে, সংস্কার করবে।

তিনি আরও বলেন, এ যে রাজনীতিবিদদের মধ্যে সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা, ইতিবাচক মনোভাব এটা তো কম কথা না। আমরা যে ভুলগুলো করেছি যার জন্য দেশের আজকের এ দুরাবস্থা সেটিকে সঠিক জায়গায় আনতে গেলে একটা স্বাধীন দেশের জন্য যে পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করা দরকার সেটাই সংস্কার।

গয়েশ্বর বলেন, এখন আমাদের দেশের বুদ্ধিমান লোকদের আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এ বুদ্ধিমান লোকেরাই রাজনীতিবিদদের মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। আমরা রাজনীতি করি বলে তারা মনে করে আমরা মূর্খের দল, কোনো লেখাপড়া করিনি। সে কারণে আজকে যেসব জ্ঞানী-গুণী অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, যারা সমাজে সুন্দর সুন্দর কথা বলে তাদের কথা সবাই মনোযোগ দিয়ে শুনতেছেন। আমাদের কথা শুধু একটা ফর্মালিটি যে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, অমুক দলকে ডাকা হয়েছে। এত ডাকাডাকির দরকারটা কি? নির্বাচনর পদ্ধতি তো আমাদের জানাই আছে। ভোটার তালিকা করবেন যা করবেন করে ফেলেন। একটা নির্বাচন দিয়ে দেন। আমাদের মতামতের দরকার কি? কোনো দরকার নেই।

তিনি বলেন, আমরা তো ৩১ দফা দিয়েই রাখছি। যে যে কমিশন বানাইসেন তাদের ৫ জনকে বসিয়ে দেন। সেখানে কি বাদ দিতে হবে, যোগ করতে হবে করেন, বা তাদের কোনো ভাবনা থাকলে দিতে পারেন। একেকটা কমিশন ২০০ পৃষ্ঠা, ৩০০ পৃষ্ঠা লিখে পাঠাবে আর সারাদিন এগুলো পড়ব, এটা হয়? হয় না।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments