বাদীর আইনজীবী মো: মুশফিক হাসান জানান, বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হককে আসামি করে গত বছর অক্টোবর মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যালের আইনে মামলা করেন তার স্ত্রী। এ মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক নামঞ্জর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নাটোরে স্ত্রী’র যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা সংক্রান্ত একটি ঘটনায় ময়মনসিংহ রেঞ্জে সংযুক্ত বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হকের জামিন না- মঞ্জর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ প্রদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আদালতে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা ভিডিও ধারণ করতে গেলে ফজলুল হক তাদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং এ ধরনের হামলার নিন্দা জানান।
বাদীর আইনজীবী মো: মুশফিক হাসান জানান, বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হককে আসামি করে গত বছর অক্টোবর মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যালের আইনে মামলা করেন তার স্ত্রী। এ মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক না মঞ্জর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, আদেশের পর হাজতে না রেখে আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে হাজতখানায় নেয়ার সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় এস এম ফজলুল হক। এ সময় কয়েকজন টেলিভিশন ক্যামেরা পারসন হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ ঘটনা জানাজানি নাটোরের কর্তব্যরত সাংবাদিকরা আদালত চত্বরে অবস্থান নেয়। সাংবাদিকরা দাবি করেন অন্য আসামিদের মতো এসপি ফজলুল হককে হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে নিতে হবে। এরপর বেলা ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।