ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: মো. আরমানুল হাসান: উত্তর চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবার চিত্রে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে “বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল” স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। প্রস্তাবিত তিনটি হাসপাতালের মধ্যে একটি ফটিকছড়ি উপজেলায় স্থাপন করা হলে তা হবে যথার্থ সিদ্ধান্ত।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় জনপদ, যা রাবার বাগান, চা শিল্প এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কারণে অর্থনৈতিক ও ভৌগলিক দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকার মানুষ চিকিৎসা সেবার জন্য নির্ভরশীল চট্টগ্রাম শহরের ওপর, যেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা।
স্বাধীনতার পর থেকে উত্তর চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য অবকাঠামো তেমনভাবে উন্নত হয়নি। ফলে দুঃস্থ মানুষদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যায় সামান্য অসুস্থতাতেই। সাম্প্রতিক বিজনেস সামিটে ফটিকছড়ির সম্ভাবনা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হওয়ায় এলাকাবাসীর আশাবাদ আরো বেড়েছে।
বর্তমানে ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে পার্শ্ববর্তী রামগড়, মানিকছড়ি, মিরসরাই, হাটহাজারী ও রাউজানসহ উত্তর চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে। ফলে, ফটিকছড়িতে একটি উন্নতমানের হাসপাতাল স্থাপন হলে তা পুরো অঞ্চলবাসীর জন্যই হবে আশীর্বাদস্বরূপ।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা—”বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল” যদি ফটিকছড়িতে স্থাপিত হয়, তাহলে হাজারো মানুষের চিকিৎসার বেদনা কমে আসবে। সময়ের দাবি এখন একটি আধুনিক, আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ফটিকছড়িতে গড়ে তোলা।
তাই, তিনটি হাসপাতালের মধ্যে অন্তত একটি যেন ফটিকছড়িতে হয়—এটাই আজ উত্তর চট্টগ্রামের মানুষের প্রার্থনা।