চমকপ্রদ দাবি! ভারত বাংলাদেশ সরকারকে আবারও শক্তভাবে মনে করিয়ে দিল—সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শাস্তি দিন এবং দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। কিন্তু এর পেছনে আরও একটি রহস্য রয়ে গেছে।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের কাছে তারা আশা করে, সংখ্যালঘুদের জীবন, সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করার দায়িত্ব তারা পালন করবে। ভারতের এই ‘নির্যাতনের খতিয়ান’ জানিয়ে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে ২,৩৭৪টি ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৯৮ শতাংশ ‘রাজনৈতিক’ ঘটনা।
পরে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, যিনি সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করে দেশে ফিরে, জানিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কিছু নেই। কিন্তু ভারত তখনই এই অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে, “নির্যাতনের” তালিকা প্রকাশ করে। এমনকি, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী এবং উগ্রপন্থীদের ছাড়া নিয়ে জয়সোয়াল উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন।
আরেকটি বড় প্রশ্ন উঠেছে—বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গঠনের আন্দোলনের পর ভারত কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? যদিও জয়সোয়াল দল গঠনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে তিনি পুনরায় জানান, ভারত চায় বাংলাদেশ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সব বিষয় নিষ্পত্তি করুক।
এদিকে, ভারতীয় ঋণভিত্তিক প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জয়সোয়াল। প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ব্যাহত হওয়ার কারণে দুই দেশের মধ্যে একটি নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা প্রয়োজন হবে।
ভারত কখনো এত জোরালোভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেনি—এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত কেন এমন সংকটময় সময়ে এই নতুন চাপ সৃষ্টি করছে?