মুন্সীগঞ্জের স্কুল ছাত্র নিখোঁজ এর সন্ধান চেয়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুর
রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে স্কুল ছাত্র নিখোঁজ এর সন্ধান চেয়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুর,, ওই স্কুল ছাত্র রোমান শেখের সন্ধানের দাবিতে এ মাবববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধ কর্মসূচি থেকে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বিক্ষুব্ধ সহপাঠি ও স্বজনরা থানা ঘেরাও করে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এতে থানা ও থানা প্রাঙ্গনের পাশে অবস্থিত সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালের সামনে থাকা পুলিশের গাড়িসহ ৫টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টা থেকে সাড়ে ১টা পর্যন্ত লাগাতার বিক্ষোভের সময় এ ঘটনা ঘটে

নিখোঁজ রোমান শেখ (১৬) উপজেলার কোলা ইউনিয়নের থৈরগাও গ্রামের মিরাজ শেখের ছেলে ও জেলার শ্রীনগর উপজেলার বেলতলী গঙ্গাপ্রসাদ জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। এক ভাই দু‘বোনের মধ্যে রোমন শেখ সবার ছোট। সংসারের অভাবের কারণে রোমান পড়াশোনার পাশাপাশি অটোরিকশা চালাতো। গত ২১ জানুয়ারি অটোরিকশা নিয়ে বের হবার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে রোমান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নিখোঁজ রোমানের সন্ধানের দাবিতে উপজেলা মোড়ে সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শুরু করে তাঁর সহপাঠি, স্বজন ও এলাকাবাসী। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মানববন্ধন শেষে বিক্ষুদ্ধরা বিক্ষোভ করতে করতে তাঁরা থানা ঘেরাও করে। থানায় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ মূল ফটকের কলাপসিবল গেট আটকে দেয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। সে সময় রোমানের সন্ধানের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে থানা ও সহকারি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের জানালার কাচ, দুটি কার্যালয়ের সামনে থাকা ২টি পুলিশের গাড়িসহ অন্তত ৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষ ভাঙচুর করে।
পরে নিখোঁজ রোমানের স্বজনরা উত্তেজিত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের থামায়। এদিন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, রোমানের বাবা মিরাজ মেখ, চাঁচা সুমন শেখ, রোমানের খালাত ভাই সিয়াম ও পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য। নিখোঁজ রোমানের বাবা মিরাজ শেখ বলেন, ২২ দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার ছেলেটির কোন সন্ধান পাচ্ছি না।আমাদের অভাব-অনটনের সংসার, সংসারের হাল ধরতে ছেলেটা অল্প বয়সে পড়াশোনার পাশাপাশি রিকশা নিয়ে বেরিয়েছিল। লৌহজংয়ের একটি ভাঙ্গারীর দোকান থেকে রিকশাটি পাওয়া গেছে। আমরা হয় জীবিত, নয়তো মৃত ছেলের সন্ধান চাই। শেষবারের মতো হলেও ছেলেকে দেখতে চাই। মুন্সিগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) ইমরান খান বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন জেল হাজতে রয়েছে এবং একজন যাবিনে আসে।
তাদের কয়েক দফা রিমান্ডে আনা হয়েছে। তাদের একজন কিছু তথ্য দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা রোমানকে খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। অথচ শিক্ষার্থী ও স্বজনদের ভুল বুঝিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী ৩-৪ শতাধিক মানুষ নিয়ে থানা ও আমার কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। থানার বিভিন্ন কক্ষের সরঞ্জাম ভাঙচুর করেছে। পুলিশের গাড়িসহ একাদিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে।আমাদের পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছে।