মুন্সীগঞ্জে পরিবেশ আইন অমান্য করায় ২ ইট ভাটাকে ৯ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পরিবেশ আইন অমান্য করায় ২ ইট ভাটাকে ৯ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শহিদুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত উপজেলার বড় ভাটের চর ও মধ্য ভাটের চর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও ইট পোড়ানো লাইসেন্স না থাকা এবং জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ব্যতিত ইট তৈরির জন্য ইটভাটায় মাটি সংগ্রহ করায় মেসার্স কুতুবিয়া ব্রিকস নামের ইটভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন( নিয়ন্রন) আইন এর ২০১৩ এর ১৪ ও ১৫ ধারায় ৭ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের মোবাইল কোর্ট পরিচালিত স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শহিদুল ইসলাম।
এছাড়াও একই অভিযানে মেসার্স এনএনএম ব্রিকস ফিলকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতীত ইট পোড়ানো দায়ে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ( নিয়ন্ত্রণ) আইনের ২০১৩ এর ১৫(খ) ও ৫ ধারা লঙ্ঘন করায় ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করেন পরিবেশের স্পেশাল মোবাইল কোর্ট পরিচালিত বিচারক।
এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটি জরিমানা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মেসার্স কুতুবিয়া ব্রিকস এর ম্যানেজার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মেসার্স এনএন এম ব্রিকস ফিল্ড এর মালিক বেগম নাজমুন নাহারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির করার নির্দেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশের অপর স্পেশাল ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মিজানুর রহমান ও সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ সানোয়ার হোসেন এবং গজারিয়া থানা ও পুলিশ লাইনের দুটি পুলিশ দল।
এ ব্যাপারে পরিবেশের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারি মোঃ জাকির হোসেন জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ইট পোড়ানোর দায়ে দুই ইট ভাটা কে ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।