রংপুর মহানগর শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের চাঁদা দাবির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক বালু ব্যবসায়ীর কাছে তিনি এক লাখ টাকা চাঁদা চাইছেন। তবে নাহিদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংগঠন থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ভিডিওতে কী দেখা গেছে
ফাঁস হওয়া ভিডিওতে নাহিদ হাসান এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাকে বলতে শোনা যায়, “আপনি তো দেখছেন বিষয়টি কোথায় গেছে, ইউএনও-ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে। যদি মনে হয় কিছু কমাবেন, তাহলে ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আমি চাই না আপনাদের কোনো সমস্যা হোক। জানেন তো, সংগঠন চালাতে হলে কী কী করতে হয়।”
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বালু ব্যবসায়ী এক লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দিতে চান। জবাবে নাহিদ তাকে “ভাইয়ের” (পার্ক কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে কথা বলতে বলেন এবং বিষয়টি নিয়ে সময় নিতে বলেন।
ঘটনার পটভূমি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিডিওটি এক সপ্তাহ আগের এবং ঘটনাটি রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় একটি ইকোপার্কের নামে অবৈধভাবে বালু তোলাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। ইকোপার্ক পরিচালক বেলাল হোসেন দাবি করেন, নাহিদ তার কাছে এক লাখ টাকা চেয়েছিলেন এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি এই কথোপকথন ভিডিও করে পুলিশ সুপারের কাছে পাঠান।
নাহিদের বক্তব্য ও সংগঠনের প্রতিক্রিয়া
নাহিদ হাসান খন্দকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কারও কাছে এক টাকাও নেইনি, তারা কোনো প্রমাণও দিতে পারবেন না। এটি সম্পূর্ণভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য সাজানো হয়েছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, সংগঠন কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয় না। সংগঠনের মুখ্য সংগঠক আলী মিলনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে নাহিদকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
পুলিশের অবস্থান
রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম জানান, কানাডাপ্রবাসী এক ব্যক্তি ইকোপার্ক নির্মাণে চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন, তবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।