শেরপুরের একাংশের মুসলমানরা আজ শনিবার থেকেই পবিত্র রমজানের রোজা পালন শুরু করেছেন, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে। জেলার শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতী, নকলা ও নালিতাবাড়ির ৯টি গ্রামের মানুষ অনেক বছর ধরেই এই ধারা অনুসরণ করে আসছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদ হিসেবে তারা সৌদি আরবের চাঁদ দেখার সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করেন। তাই শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ ও সেহরি গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের রমজানের সূচনা হয়।
সৌদির তারিখই তাদের ঈদের তারিখ
নকলা উপজেলার রাজ্জাক মিয়া বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করি। এটাকেই আমরা সঠিক দিন বলে বিশ্বাস করি।”
চরখারচরের আব্দুল হান্নান জানান, সৌদি যখন রোজা শুরু করে, আমরাও তখনই শুরু করি। আর ঈদও তাদের সঙ্গেই উদযাপন করব!
শেরপুরের এই ৯টি গ্রামের বিশেষ এই সিদ্ধান্ত দেশের প্রচলিত রীতির বাইরে হলেও, স্থানীয়দের কাছে এটি বিশ্বাস ও ধর্মীয় চেতনার প্রতিচ্ছবি।