সজিব মিয়া, বাংলাদেশে শিশু আছিয়ার মৃত্যু একটি মর্মান্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা সামাজিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে তার মরদেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়া, পরিবারের শোক ও প্রতিবাদের চিত্র, এবং তারপর সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার নিয়ে আলোচনা এই মৃত্যু আরও গভীরভাবে প্রকাশিত করেছে।
শিশু আছিয়ার মৃত্যুর পর তার পরিবারের জন্য শোকের কোনো শেষ ছিল না। বিশেষত, তার ছোটবোনের কাঁদতে কাঁদতে বুকফাটা আহাজারি এক ধরনের হৃদয়বিদারক দৃশ্য হয়ে ওঠে। আছিয়ার মৃতদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তার গ্রামের বাড়ি মাগুরায় নিয়ে আসা হয়, যেখানে গ্রামের মানুষ এবং আছিয়ার পরিবার গভীর শোকের সাথে এই দৃশ্যের সাক্ষী হয়। এই দৃশ্যটি শুধু ওই পরিবারে নয়, পুরো জাতির হৃদয়ে দাগ রেখে গেছে।
শিশু আছিয়ার মৃত্যু সামাজিক মিডিয়ায়, রাজনীতিতে এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, যারা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, তাদের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরু করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই আশ্বাসটি ন্যায়বিচারের প্রতি জাতির আস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হবে।
এই ঘটনার পর বি. এন. পি চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যও জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তিনি অপরাধীকে কঠোর শাস্তির দাবী করেছেন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
আছিয়ার মৃত্যু আমাদের সকলকে মানবাধিকার, নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচারের গুরুত্ব সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্বের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ আরও একবার ন্যায়বিচারের দিকে তাদের পদক্ষেপ জোরদার করার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেছে।