রংপুরের কাউনিয়ায় চার বছরের শিশু দোলা মনি নিখোঁজ হওয়ার ৪১ দিন পর ভয়ংকর এক সত্য উন্মোচিত হলো! সেনাবাহিনীর গোপন অভিযানে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটিকে শ্বাসরোধ ও আছাড় মেরে হত্যার পর লাশ লুকিয়ে রাখা হয়, যা কল্পনাকেও হার মানায়!
কীভাবে শুরু হলো বিভীষিকাময় এই হত্যাকাণ্ড?
প্রায় এক বছর আগে মাত্র কয়েক টাকার কাপড় সেলাই নিয়ে ঝগড়া হয় দোলা মনির বাবা দেলওয়ার মিয়া ও প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে। সেই তুচ্ছ ঘটনার জেরে ৪ বছরের শিশুকে হত্যা করার মতো ভয়ংকর পরিকল্পনা করে নুরুল ইসলাম!
সেনাবাহিনীর অভিযানে বেরিয়ে এলো লোমহর্ষক কাহিনি!
গত ১৭ জানুয়ারি খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় দোলা মনি। ৪১ দিন ধরে তার পরিবার পাগলের মতো খুঁজেও কোনো সন্ধান পায়নি। শেষ আশ্রয় হিসেবে সেনাবাহিনীর কাছে সহায়তা চাইলে, তাদের দুর্ধর্ষ অভিযানে বেরিয়ে আসে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য!
কীভাবে লুকানো হয়েছিল দোলার মরদেহ?
সেনাবাহিনীর হাতে আটক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে মামুন মিয়া জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, তারা দোলাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং আছাড় দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে! তারপর মরদেহ একটি বস্তায় ঢুকিয়ে প্রথমে কচুরিপানার ঝোপে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে রাতের অন্ধকারে আফজাল হোসেনের বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে দেয় তারা!
গ্রেপ্তার ৩ জন, কিন্তু আরও কেউ জড়িত? তদন্ত চলছে!
সেনাবাহিনী অভিযানে নুরুল ইসলাম (৪৫), তার ছেলে মামুন মিয়া (১৯) এবং মোসন মিয়া (৫৬)-কে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার শিশুটির বাবা দেলওয়ার মিয়া তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা ও আলামত গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। দোলার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে রংপুর মর্গে।
একটি ছোট ঝগড়া থেকে নিষ্পাপ শিশুর নিষ্ঠুর মৃত্যু—এ কেমন নিষ্ঠুরতা?
এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে—এমন অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বিচার কী দ্রুত হবে? এই সমাজে আর কত দোলাকে এভাবে প্রাণ হারাতে হবে?