মুন্সীগঞ্জে এএসপির কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ২
রুবেল ইসলাম তাহমিদ, (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি।
মুন্সীগঞ্জের উপজেলার সিরাজদিখানে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে থানা ও এএসপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আজ ৬০ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে। এসআই রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এছাড়া যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে গত কাল সকালে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার শ্রীনগর উপজেলার সিংপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মো. সেন্টু ওরফে গরম সেন্টু (৫৩) ও আরিগাঁও গ্রাম থেকে মো. মাহিম বেপারীকে (২৭) গ্রেপ্তার করে। এদিকে, মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
হামলা ও ভাংচুরের কারনে সিরাজদিখান থানা ও এএসপি কার্যালয়ের ৯০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতির দাবী করা হয়েছে। একই সঙ্গে হামলায় ১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রবি বার,সিরাজদিখান থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন হামলা করে সিরাজদিখান থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষসহ ভেতরে ব্যাপক ভাংচুর করে। এছাড়া পাশের সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভাংচুর করা হয়। এসময় পুলিশের দু’টি পিকআপ ও ৩ টি প্রাইভেটকার ভাংচুর তান্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে ২ জনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাদী সিরাজদিখান থানার এসআই রোজিনা খাতুন বলেন, আমি ঘটনার সময় থানার ডিউটি অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। অতর্কিত কিছু লোকজন হামলা করে ভাংচুর করেছে। পুলিশ সদস্যরাও আহত হয়। হামলায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রসঙ্গত, নিখোঁজ অটোরিকশা চালক ও স্কুল ছাত্র রোমান শেখের (১৬) সন্ধান চেয়ে পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে আগের দিন বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সিরাজদিখান থানা ও সহকারি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন।