রংপুরে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগসহ পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে তারা রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ, আর রোগীদের জন্য সৃষ্টি হয় অনিশ্চয়তা।
রংপুর মেডিকেলের সামনে বিক্ষোভ, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংহতি
শনিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজের সামনে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ, প্রাইম মেডিকেল কলেজ এবং রংপুর মেডিকেল কলেজের শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। ক্যাম্পাসজুড়ে চলে স্লোগান, দাবি আদায়ে শপথ। পরে শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল প্রদক্ষিণ করে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন রংপুর মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও।
চিকিৎসকদের পেশার মর্যাদা রক্ষার লড়াই
সড়ক অবরোধে বক্তব্য রাখেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান, প্রাইম মেডিকেল কলেজের ডা. আবির আহমেদ এবং কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের ডা. রাশিদ সাবাব। তাদের বক্তব্য— ম্যাটস শিক্ষার্থীদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্তে চিকিৎসক পেশার মর্যাদা হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে ভুল চিকিৎসার ঝুঁকি বাড়বে, রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে, চিকিৎসা সেবার মান নষ্ট হবে। তাই শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদেরই চিকিৎসক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি
১. বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার
২. স্বাস্থ্যখাতে সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ
৩. ষষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ ফিরিয়ে আনতে আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন
৪. প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখা
৫. ম্যাটস শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি বাতিল করে তাদের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ, মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন
স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত, রোগীরা পড়বেন চরম বিড়ম্বনায়
২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখেছেন। আগামী ১ মার্চ থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ইনডোর-আউটডোর সেবা বন্ধের ঘোষণা আসায় চরম দুর্ভোগের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সিদ্ধান্ত আসছে না, আর আন্দোলন জোরদার হচ্ছে।