থ্রিলার প্রেমীদের জন্য ‘চালচিত্র’ এক চমকপ্রদ নতুন অভিজ্ঞতা। পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা প্রতীম ডিগুপ্ত পরিচালিত এই সিনেমা, যেখানে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ছোট উপস্থিতি দিয়েও সাড়া ফেলেছেন। তাঁর চরিত্রটি বেশ ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’—একটি ছোট কিন্তু গভীর প্রভাব ফেলা ভূমিকা। সিনেমাটির গল্প একের পর এক নারীর খুন এবং তার সাথে জড়িত সিরিয়াল কিলারের রহস্য ঘিরে, যেখানে অপূর্বের চরিত্রটি একটি মূল মোড় তৈরী করে।
কলকাতা শহরে অবিবাহিত নারীদের একের পর এক খুন হওয়ার পেছনে সিরিয়াল কিলার হিসেবে কাজ করছে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। একদিকে সিনেমার থ্রিলার টানটান উত্তেজনা, অন্যদিকে চরিত্রগুলোর মানবিক টানাপোড়েন দারুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। টোটা রায়চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, শান্তনু মহেশ্বরী—সিনেমার অন্যান্য চরিত্রগুলোও বেশ নজর কেড়েছে। তবে অপূর্বের ভূমিকা সবকিছু ছাড়িয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে, অ্যাকশন এবং থানায় জিজ্ঞাসাবাদ দৃশ্যগুলোতে তাঁর অভিনয় এক আলাদা রোমাঞ্চ তৈরি করে।
‘চালচিত্র’-এর সেরা দিক হলো অভিনয়। টোটা রায়চৌধুরী রহস্যভেদী চরিত্রে অসাধারণ কাজ করেছেন। শান্তনু মাহেশ্বরী ও স্বস্তিকা দত্তর জুটি বেশ মিষ্টি এবং অনির্বাণ চক্রবর্তী তাঁর চরিত্রে মন ছুঁয়ে যান। কিন্তু অপূর্ব তার সীমিত উপস্থিতি দিয়েও সিনেমার শক্তিশালী ‘ইমপ্যাক্ট’ তৈরি করেছেন। সুতরাং, তাঁর চরিত্রটি আরও বড় হওয়া উচিত ছিল!
পরিপূর্ণ থ্রিলারের পাশাপাশি, সিনেমাটি দর্শকদের সামাজিক এবং মানবিক দিকেরও সচেতনতা দেয়। ‘চালচিত্র’ থ্রিলারের ভিন্ন মোড় এবং অপূর্বের সেরা পারফরম্যান্সের জন্য সিনেমাটি চর্চিত হবে বহু দিন!