প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৫, ৩:৫১ এএম

অনলাইন সংস্করণ

এ সম্পর্কিত আরও খবর

রোজা রাখার শরীরিক প্রভাব: ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৫, ৩:৫১ এএম

অনলাইন সংস্করণ

👁 7 views

প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলমান রোজা রাখেন, এক মাস ধরে, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে তারা পানাহারে বিরত থাকেন, যা শুধুমাত্র ধর্মীয় প্রয়োজনে নয়, শরীরের উপরও একটি গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে, যেখানে গ্রীষ্মকালীন রোজা অনেক দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, এর প্রভাব আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইউরোপের অনেক দেশে, যেখানে রোজা সময় ২০ ঘণ্টাও হতে পারে, মুসলমানদের জন্য এটি এক বিশেষ চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করে।

শরীরের উপর প্রভাব:

রোজা রাখার ফলে শরীরের বেশ কিছু শারীরিক প্রভাব দেখা যায়। সাধারণত, এক মাসের রোজা শরীরকে শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। তবে, দীর্ঘ সময় ধরে রোজার সময় খাদ্য এবং পানির প্রতি বিরত থাকার কারণে পাচনতন্ত্রে বিশ্রাম মেলেএবং সমস্যা উভয়ই রয়েছে।

১. পাচনতন্ত্রের উন্নতি:

রোজার সময় খাদ্য এবং পানির প্রতি বিরত থাকার কারণে পাচনতন্ত্রে বিশ্রাম মেলে। এটি দেহের অতিরিক্ত টক্সিন মুছে ফেলতে সহায়ক। খাবার গ্রহণের সময় নিয়ন্ত্রণশীল হওয়ায় হজমের প্রক্রিয়া ভালো হয় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যও উন্নত হয়।

২. ওজন নিয়ন্ত্রণ:

রোজা সময়, খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা অতিরিক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়। এর ফলে, অনেক মানুষ তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন। তবে, দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখার কারণে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতাও তৈরি হতে পারে, যা শরীরে আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমে:

বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজা রাখার কারণে শরীরে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটের মাত্রা কমে যায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে। রোজা শরীরের ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

৪. মানসিক স্থিরতা:

শরীরের ওপর স্বাস্থ্যকর প্রভাবের পাশাপাশি, রোজা রাখার মানসিক সুবিধাও রয়েছে। উপবাসের মাধ্যমে মানুষের ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং আত্মসংযম বৃদ্ধি পায়। অনেকেই রোজা রাখার ফলে মানসিক শান্তি এবং একাগ্রতা অনুভব করেন, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সহায়ক হতে পারে।

৫. শরীরের শক্তি ও ক্লান্তি:

গ্রীষ্মকালে, বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে, যেখানে রোজা ২০ ঘণ্টার মতো দীর্ঘ হয়, শারীরিকভাবে কিছু ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে। শরীরের পানির অভাব এবং দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া না হওয়ায়, এক্সট্রিম গরমে শরীরের জন্য তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে, হালকা ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং দুর্বলতা হতে পারে।

রোজা রাখার ফলে শরীরের ওপর কিছু স্বাস্থ্যকর প্রভাব দেখা যায়, তবে এক মাসব্যাপী রোজা রাখার সময় শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, গ্রীষ্মকালে দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখার ক্ষেত্রে, পর্যাপ্ত পানি পান এবং সঠিক পুষ্টির দিকে নজর রাখা উচিত। যদি সঠিকভাবে রোজা পালন করা হয়, তবে এটি শরীর ও মনকে এক বিশেষ শুদ্ধিকরণের সুযোগ দিতে পারে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments